fatrar char
ফাতরার চর
বাংলাদেশের কুয়াকাটা সৈকতের নিকটবর্তী এলাকার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান ,ফাতরার চর(Fatrar Char)।এটি মূলত বঙ্গোপসাগরের পাড়ে অবস্থিত একটি ছোট চর বা দ্বীপ। এটি প্রকৃতিপ্রেমী এবং ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর গন্তব্য। ফাতরার চর তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বন্যপ্রাণী, এবং নিরিবিলি পরিবেশের জন্য জনপ্রিয়। কুয়াকাটা থেকে এটি খুব দূরে নয় এবং নৌকাযোগে সহজেই যাওয়া যায়।ফাতরার চর তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এটি একটি মনোরম পর্যটন স্থান, যেখানে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের পূর্ণতা প্রকাশ করেছে। এখানে রয়েছে মনোমুগ্ধকর বনভূমি, যেখানে ম্যানগ্রোভ গাছ এবং বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়। সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চলের মতো এখানেও বিভিন্ন বন্যপ্রাণী, পাখি এবং কাঁকড়ার প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যায়।পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
ফাতরার চরে আকর্ষণীয় দিকসমূহঃ
১।প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য:ফাতরার চর তার বিস্তীর্ণ বালুচর এবং সবুজ বনভূমির জন্য পরিচিত। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় এর সৌন্দর্য আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
২।বন্যপ্রাণী এবং জীববৈচিত্র্য:এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, যেমন সাদা বক, পানকৌড়ি, এবং মাছরাঙা দেখা যায়। এছাড়া ছোট কাঁকড়ার দল চরজুড়ে দৌড়াতে দেখা যায়।
৩।পর্যটকদের কার্যক্রম:পর্যটকরা এখানে কায়াকিং, ফিশিং, এবং নৌকা ভ্রমণের মতো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। তাছাড়া পিকনিক এবং বনভোজনের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান।
৪।নির্জনতা:কোলাহলমুক্ত পরিবেশের জন্য ফাতরার চর প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। এটি শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে দূরে নিরিবিলি সময় কাটানোর একটি চমৎকার জায়গা।
ফাতরার চর যাওয়ার উপায়ঃ
ফাতরার চর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি মূলত একটি দ্বীপ, তাই সেখানে যেতে হলে নৌকাই একমাত্র বাহন। কুয়াকাটা থেকে স্পিডবোট বা ট্রলার ভাড়া করে সহজেই ফাতরার চরে পৌঁছানো যায়। যাত্রাপথে সমুদ্রের ঢেউ এবং আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার মন কাড়বে।
ফাতরার চর ভ্রমণের সেরা সময়ঃ
শীতকাল বিশেষ করে (নভেম্বর-মার্চ মাসে) ফাতরার চরে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়, কারণ এ সময় আবহাওয়া শীতল এবং মনোরম থাকে। এছাড়া বন্যপ্রাণী এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য এসময় ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।আর আপনি দুই ঘন্টা সময় পাবেন এই চরে অবস্থান করতে।
ফাতরার চরে খাওয়ার ব্যবস্থাঃ
ফাতরার চরে খাওয়ার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই।একটি মাত্র খাবার দোকান আছে ,যেখানে মোটা চালের ভাত সাথে মুরগী পাওয়া যায়।এছাড়া আপনি যাওয়ার পথে সাথে শুকনো খাবার নিতে পারেন।
ফাতরার চরে যাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ:
১।বোটের ভাড়া আগে থেকে ঠিক করে নিন।
২।পর্যাপ্ত খাবার, পানি, এবং ক্যামেরা সঙ্গে রাখুন।
৩।প্রকৃতির প্রতি যত্নবান থাকুন; কোনো ময়লা-আবর্জনা চরে ফেলে আসবেন না।
৪।স্থানীয় গাইডের সাহায্য নিলে আরও ভাল অভিজ্ঞতা পাবেন।
Leave a Reply