botanical garden
জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিকাল গার্ডেন
জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিকাল গার্ডেন নামেও পরিচিত, ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত একটি অনন্য প্রকৃতি কেন্দ্রিক দর্শনীয় স্থান। এটি শুধু একটি উদ্যান নয়, বরং একটি জীবন্ত উদ্ভিদ জাদুঘর, যেখানে হাজার হাজার প্রজাতির গাছপালা, ফুল, ফল ও ঔষধি উদ্ভিদ দেখা যায়। প্রকৃতিপ্রেমী, শিক্ষার্থী, গবেষক এবং অবসরপ্রাপ্ত সময় কাটাতে আগ্রহীদের জন্য এটি এক চমৎকার গন্তব্য।

অবস্থান ও আয়তন:
বোটানিকাল গার্ডেন ঢাকা শহরের উত্তরের অংশে মিরপুরে অবস্থিত। এটি প্রায় ৮৪ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এবং ঢাকা চিড়িয়াখানার (বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা) পাশে অবস্থিত, যা একসাথে দুইটি দর্শনীয় স্থান উপভোগের সুযোগ করে দেয়।

বোটানিকাল গার্ডেনের আকর্ষনসমূহঃ
১।দুর্লভ ও বিলুপ্তপ্রায় গাছপালা: এখানে দেশি ও বিদেশি প্রায় ১২০০+ প্রজাতির উদ্ভিদ সংরক্ষিত রয়েছে।জাতীয় বোটানিকাল গার্ডেন শুধু সাধারণ গাছের সংগ্রহশালা নয়, এটি বাংলাদেশের ও বিশ্বের বিভিন্ন দুর্লভ ও বিলুপ্তপ্রায় গাছপালার জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এসব উদ্ভিদ রক্ষণাবেক্ষণ, গবেষণা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকে থাকার সুযোগ পাচ্ছে
২।নৈসর্গিক ল্যান্ডস্কেপ: কৃত্রিম লেক, পাহাড়ের মতো ঢালু ভূমি, ফুলের বাগান ও ঝর্ণার ন্যায় সাজানো পরিবেশ মন কেড়ে নেয়।বোটানিকাল গার্ডেনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকগুলোর একটি হলো এর নৈসর্গিক ল্যান্ডস্কেপ – যেখানে প্রকৃতি নিজের রঙে, নিজের ঢঙে কথা বলে। এ উদ্যান যেন একজায়গায় দাঁড়িয়ে বহু রকমের প্রকৃতির স্বাদ পাওয়া যায়। হাঁটতে হাঁটতে কখনো মনে হয় পাহাড়ি কোন রাস্তায় আছি, আবার কখনো ছোট নদীর পাড়ে।

৩।পাখি ও প্রজাপতি: বিভিন্ন পাখির কলকাকলি ও রঙিন প্রজাপতির আনাগোনা জায়গাটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
৪।চলাফেরার জন্য পাথরের পথ: হেঁটে ঘুরে ঘুরে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

বোটানিকাল গার্ডেনে যাওয়ার উপায়ঃ
ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে বাস, সিএনজি বা প্রাইভেট গাড়িতে সহজেই মিরপুর বোটানিকাল গার্ডেন যাওয়া যায়। এছাড়া গুগল ম্যাপে “Botanical Garden Dhaka” লিখলেই সঠিক লোকেশন পেয়ে যাবেন।
বোটানিকাল গার্ডেন পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণঃ
দুর্লভ ফুল ফুটলে তা দেখতে অসংখ্য পর্যটক ভিড় করে। বিশেষ করে অর্কিড গার্ডেন বা ঔষধি গাছের কর্নার পর্যটকদের বেশ টানে।

ফটোগ্রাফারদের স্বর্গরাজ্যঃ
বোটানিকাল গার্ডেনের প্রতিটি কোণেই আছে অনিন্দ্যসুন্দর ক্যামেরা-ফ্রেন্ডলি মুহূর্ত। ভোরের কুয়াশা, দুপুরের সূর্য, কিংবা বিকেলের সোনালী আলো – সবই যেন ছবির মতো।
বোটানিকাল গার্ডেন ভ্রমণকারীদের জন্য পরামর্শঃ
১।সকালবেলা বা বিকেলের সময় ভ্রমণ উপযুক্ত।
২।পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ।
৩।প্রবেশ টিকিট রয়েছে, যা খুবই স্বল্পমূল্যের।
৪।ফটোগ্রাফির জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা।
Leave a Reply