chor kukri mukri
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দ্বীপ চর কুকরি মুকরি
বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দ্বীপ চর কুকরি মুকরি এলাকা, যা ভোলা জেলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে অবস্থিত। এটি একটি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল, যার অপার প্রাকৃতিক শোভা, জীববৈচিত্র্য এবং বনাঞ্চল একে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে।চর কুকরি মুকরি অবস্থিত ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। এটি মূলত মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলে গঠিত একটি দ্বীপ, যা বরিশাল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।

চর কুকরি মুকরির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন:
১।চর কুকরি মুকরির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর দীর্ঘ সৈকত, যা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করার জন্য আদর্শ।
২।এখানে নৌকা ভ্রমণ, ক্যাম্পিং, জেলেদের জীবনযাপন দেখা ইত্যাদি আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়।
৩।পর্যটকরা জোয়ার-ভাটা, নদী ও সাগরের মিলন, আর বনের মাঝে পাখির কলকাকলি উপভোগ করতে পারেন।

ঢাকা থেকে কুকরি মুকরি যায়ার উপায়ঃ
ঢাকা → ভোলা
১।লঞ্চে (সরাসরি):স্থান: সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ।গন্তব্য: ভোলা (বোরহানউদ্দিন/ইলিশা ঘাট) ।সময়: প্রায় ৬-৮ ঘণ্টা (রাতের লঞ্চ সবচেয়ে আরামদায়ক) ।ভাড়া: নন-এসি ৩০০-৫০০ টাকা, কেবিন ১০০০-২০০০ টাকা (প্রকারভেদে)
২।বাসে:রুট: ঢাকা → ভোলা (মাওয়া হয়ে ফেরিতে নদী পার হয়ে) ।বাস সার্ভিস: ঈগল, হানিফ, সোহাগ, ইত্যাদি ।সময়: প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা ।ভাড়া: ৫০০-৭০০ টাকা।

ভোলা থেকে চর কুকরি মুকরি যাওয়ার উপায়ঃ
১।বাস বা মাইক্রোবাসে ভোলা শহর থেকে চরফ্যাশন যেতে হবে।সময়: প্রায় ৩-৪ ঘণ্ট ।ভাড়া: ২০০-৩০০ টাকা (প্রায়)
২। চরফ্যাশন থেকে অটোরিকশা বা সিএনজি-তে আমতলী ঘাট যেতে হয় (প্রায় ৩০-৪৫ মিনিট)।
৩।এখান থেকে ট্রলার বা স্পিডবোট করে মূল চর কুকরি মুকরিতে যেতে হয়।সময়: ট্রলার – ১.৫-২ ঘণ্টা, স্পিডবোট – ৪৫ মিনিট ।ভাড়া: ট্রলার ২০০-৩০০ টাকা, স্পিডবোট ভাড়া একটু বেশি হতে পারে।
চর কুকরি মুকরিতে থাকার ব্যবস্থা:
১।এখানে পর্যটকদের জন্য সরকারি রেস্ট হাউস, স্থানীয় হোটেল, ও ক্যাম্পিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।
২।আগে থেকেই বুকিং করে যাওয়া ভালো, কারণ পর্যটনের মৌসুমে ভিড় বেড়ে যায়

চর কুকরি মুকরি ভ্রমণের সেরা সময় :
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি – এই সময় আবহাওয়া ঠাণ্ডা ও মনোরম থাকে। পরিযায়ী পাখিদের দেখার জন্যও এটি আদর্শ সময়।
Leave a Reply