বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (Bangladesh National Museum) দেশের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘর। এটি শুধুমাত্র একটি সংগ্রহশালা নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, প্রত্নতত্ত্ব, শিল্পকলা ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানার একটি বিস্তৃত জ্ঞানভাণ্ডার।বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয় ১৯১৩ সালে “ঢাকা জাদুঘর” নামে। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এটিকে “জাতীয় জাদুঘর” হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং এটি শাহবাগ, ঢাকা-তে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে এটি একটি আধুনিক, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
১। বাংলাদেশ ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারিঃপ্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দলিল, ছবি, অস্ত্র ইত্যাদি সংরক্ষিত।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মারকসহ উল্লেখযোগ্য উপাদান রয়েছে।
২।প্রাকৃতিক ইতিহাস গ্যালারিঃদেশের জীববৈচিত্র্য, প্রাণীজগত, বনজ সম্পদ, পাখি, মাছ, খনিজ ও ভূতত্ত্ব বিষয়ক সংগ্রহ রয়েছে।বিশালাকৃতির ডাইনোসরের কঙ্কাল ও হাতির মডেল শিশু ও বড়দের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
৩. শিল্প ও চিত্রকলা বিভাগঃঐতিহ্যবাহী বাংলা চিত্রশিল্প, ইসলামি ক্যালিগ্রাফি, আধুনিক আর্ট ও আন্তর্জাতিক শিল্পকর্মের বিশাল সংগ্রহ।জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান সহ বিখ্যাত শিল্পীদের কাজ রয়েছে এখানে।
৪. আঞ্চলিক ও লোকসংস্কৃতি বিভাগঃগ্রামবাংলার হস্তশিল্প, পোশাক, লোকগান, বাদ্যযন্ত্র, খেলনা, পুতুল, নৌকা ইত্যাদি।
শাহবাগ, রমনা, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
👉 এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও বাংলা একাডেমি‘র খুব কাছাকাছি অবস্থিত। শাহবাগ মোড় থেকে মাত্র ১–২ মিনিটের হাঁটার দূরত্বে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ঢাকার অন্যতম কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, তাই শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে এখানে যাতায়াত সহজ ও সুবিধাজনক।
🚍 ১. বাসে করে:ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকে শাহবাগ মোড়গামী লোকাল বা সিটি বাস ধরে নেমে হেঁটে ২–৩ মিনিটেই পৌঁছানো যায়।জনপ্রিয় রুটে চলাচলকারী বাস: গুলিস্তান, ফার্মগেট, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, বাড্ডা ইত্যাদি থেকে বাস সহজলভ্য।
🚖 ২. রিকশা বা সিএনজি:ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে রিকশা, অটোরিকশা (সিএনজি) অথবা মোটরসাইকেলে সরাসরি জাদুঘরের গেটে পৌঁছানো যায়।আশেপাশের এলাকা: শাহবাগ, রমনা, ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা
🚗 ৩. ব্যক্তিগত গাড়িতে:ব্যক্তিগত গাড়িতে আসার জন্য সরাসরি গুগল ম্যাপে “Bangladesh National Museum” সার্চ করলেই দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।পার্কিংয়ের ব্যবস্থা কাছাকাছি কিছু জায়গায় থাকলেও সীমিত।
🚉 ৪. রেলপথে:নিকটতম রেলস্টেশন: কমলাপুর রেলস্টেশন, যেখান থেকে ট্যাক্সি বা সিএনজি করে ১৫–২০ মিনিটে পৌঁছানো যায়।
✈️ ৫. বিমানপথে:হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাতীয় জাদুঘরের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার।ট্যাক্সি, বাস বা প্রাইভেট কারে ৩০–৪৫ মিনিটে পৌঁছানো সম্ভব (যানজট নির্ভর করে)।
🗓️ দিন | ⏰ সময় |
---|---|
শনিবার – বুধবার | সকাল ১০:৩০ টা – বিকেল ৫:৩০ টা |
শুক্রবার | বিকেল ৩:০০ টা – রাত ৮:০০ টা |
বৃহস্পতিবার | সাপ্তাহিক ছুটি (বন্ধ) |
সরকারি ছুটি | বন্ধ থাকে (বিশেষ দিন ছাড়া) |
টিকিট কাটা যাবে জাদুঘর খোলার ৩০ মিনিট আগে থেকে।
প্রবেশ বন্ধ হয় বন্ধের ৩০ মিনিট আগে।সরকারি বা জাতীয় দিবসে সময়সূচি ভিন্ন হতে পারে।
ঈদ বা অন্যান্য উৎসব উপলক্ষে বিশেষ প্রদর্শনী থাকলে অতিরিক্ত সময়েও খোলা থাকতে পারে।
শ্রেণী | মূল্য (টাকা) | মন্তব্য |
---|---|---|
বাংলাদেশী প্রাপ্তবয়স্ক | ৪০ টাকা | ২৩ আগস্ট ২০২২ থেকে কার্যকর |
বাংলাদেশী শিশু (৩–১২ বছর) | ২০ টাকা | |
সার্কভুক্ত দেশের নাগরিক | ৩০০ টাকা | |
অন্যান্য দেশের (বৈশ্বিক) নাগরিক | ৫০০ টাকা |
বাংলাদেশের পাহাড়ি সৌন্দর্যের কথা বললেই যে কয়টি স্থানের নাম সবার আগে মনে পড়ে, তার মধ্যে…
ঢাকা শহরের মিরপুরে অবস্থিত প্রাণ-প্রকৃতির মিলনমেলা বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা (Bangladesh National Zoo) , যা আমাদের…
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ভোলার স্বাধীনতা জাদুঘর(freedom museum bhola)। ভোলা…
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় অবস্থিত একটি দৃষ্টিনন্দন পর্যটন আকর্ষণ জ্যাকব টাওয়ার(jakob tower), যা "বাংলার আইফেল…
বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দ্বীপ চর কুকরি মুকরি(chor kukri mukri)এলাকা, যা ভোলা জেলার দক্ষিণে…
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার নিমতলা গ্রামের পাশে অবস্থিত একটি মনোরম ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর…